ছোটবেলায় এরকম হতো না যে, আপনি একটা ছেলের সাথে মারামারি করছেন, সে আপনাকে কয়েক ঘা লাগিয়ে দিয়েছে। আপনি যেই পালটা মার দিতে যাবেন অমনি বড় কেউ এসে মারামারি থামিয়ে দিল। আপনি রাগে ফুঁসছেন, আমার ভাগেরটা দিতে পারলাম না। গেরিলা যুদ্ধ খানিকটা এরকম।
যখন শত্রু সংখ্যা আর সামর্থ্যে অনেক বড়, তখন সবচেয়ে কার্যকরি মেথড হলো এই গেরিলা ওয়ারফেয়ার। আচমকা আক্রমণ করেই হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়া, শত্রুকে আক্রমণের সুযোগ না দিয়েই। শত্রু কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিপুল ক্ষতি করে ফেলা। শত্রু যখন প্রতিশোধ না নিতে পেরে ক্ষোভে আগুন হবে তখন আবারও আক্রমণ। এভাবেই লাগাতার চলবে।
এভাবেই দুর্বলেরা বারবার শক্তিশালীর উপর জিতেছে। এজন্য একে বলা হয়, দুর্বলের যুদ্ধ বা গরীবের যুদ্ধ। তবে যতই লোভনীয় মনে হোক না কেন, গেরিলা ওয়ারফেয়ার মোটেও সহজ কিছু না। স্বাভাবিক সৈন্যদের চেয়ে কয়েকগুণ কষ্ট করতে হয়। আজকের লেখায় আমরা হামাসের গেরিলা ওয়ারফেয়ার নিয়ে কথা বলবো। গেরিলা যুদ্ধের কিছু মৌলিক উদ্দেশ্য হলো, শত্রুকে নিজের পছন্দমত স্থানে এনে যুদ্ধ করতে বাধ্য করা। সালাউদ্দিন আইয়ুবি এই কৌশল খুবই পছন্দ করতেন। তার জানা ছিল, সম্মুখ যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর কোনো সুযোগই নেই।
তাই শত্রুকে পাহাড়ঘেরা অঞ্চলে এনে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলতেন। এরপর কচুকাটা চলত। এতে করে মুসলিম বাহিনির সর্বনিম্ন ক্যজুয়ালিটি থাকতো, অপরদিকে শত্রু কখনো কখনো জানতেও পারতো না তাদের ওই প্লাটুনের কপালে কী ঘটেছে। আরেকটা উদ্দেশ্য হলো, শত্রুকে নিজেদের পছন্দমত অস্ত্রে যুদ্ধে বাধ্য করা। এই ব্যাপারে বোঝার জন্য গেরিলা যুদ্ধ আসলে কোথায় কোথায় সফল সেটা দেখা যাক।
১। জঙ্গলেঃ কোনো বিমান হামলায় কাজ হবে না, বরং পুরো জঙ্গল জ্বালিয়ে দিতে হবে। আধুনিক কোনো যানবাহন, কামান কিংবা ভারী অস্ত্র মুভ করাতে পারবে না। একই সাথে বিশাল সংখ্যার সৈন্যও অ্যাসেম্বল করতে পারবে না। মোবিলাইজেশনের এই মারাত্বক অসুবিধার কারণে তাদের কেবল অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে করেই আসতে হবে, যা অলরেডি গেরিলাদের হাতে থাকবে। এর উপরে গেরিলারা কিন্তু জঙ্গলের প্রতিটা ইঞ্চি চেনে। জঙ্গলে গেরিলা যুদ্ধের সবচেয়ে বড় উদাহরণ ভিয়েতনাম যুদ্ধ। এছাড়া আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও চমৎকার কিছু ব্যাটল আছে।
২। মরুভুমিতেঃ আগে গেরিলা যুদ্ধে মরুভূমি খুবই কার্যকর ছিল, শত্রু ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই বালির মধ্যে মিলিয়ে যাওয়া। কিন্তু আকাশ প্রতিরক্ষার ব্যাপক উন্নতির কারণে মরুভূমির গেরিলা যুদ্ধ মোটেও কার্যকর নয়। কারণ ড্রোনের কারণে গেরিলাদের পজিশন ২৪ ঘন্টাই কম্প্রোমাইজড থাকবে।
৩। পাহাড়েঃ পাহাড়ে গেরিলা যুদ্ধ সফল গুহাগুলোর কারনে। শক্ত পাথরের উপর আকাশপথ থেকে বোম্বিং কাজ করবে না। আর অনেক গুহা আছে কিলোমিটারের উপর লম্বা। ভিতরে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই। আর গুহাগুলোর ম্যাপ হয় চরম জটিল। তাই অ্যাটাক শেষে এই গুহায় মিলিয়ে গেলে খুজে পাওয়া অসম্ভব। আফগানিস্তানে আমেরিকার পরাজয়ের অন্যতম কারণ এই গুহাগুলো। আপনারা প্রচুর থ্রিলার কাহিনী পাবেন এই ব্যপারে।
৪। আরবান ওয়ারফেয়ার বা শহুরে যুদ্ধঃ গেরিলা যুদ্ধের সবচেয়ে আধুনিকতম সংস্করণ এটি। তবে এই গেরিলা যুদ্ধ সফল হবার একটা শর্ত আছে। সেটা হলো, শহরের বাসিন্দাদের একটা অংশের সমর্থন থাকতে হবে। মানে গেরিলা যুদ্ধের যে মূল থিওরি, হামলা করেই পালিয়ে যাওয়া, সেই পালানোর জায়গা শহরের মধ্যে থাকতে হবে।
টানেল ওয়ারফেয়ারঃ টানেল কিন্তু কোনো স্বতন্ত্র যুদ্ধকৌশল না। বরং গেরিলা যুদ্ধের বাকি ফর্মগুলোর সাথে মিলিয়ে টানেল যুদ্ধ করা হয়। যেমন ধরা যাক জঙ্গল। জঙ্গল ওয়ারফেয়ারে টানেলের ব্যবহার সবচেয়ে কার্যকরভাবে করতে পেরেছে ভিয়েতনামের ভিয়েতকং যোদ্ধারা, আমেরিকার বিরুদ্ধে। শুধু টানেল খুঁড়তেই মারা গেছে ৪৫ হাজার সৈন্য। তাহলে ভাবুন তারা এইসব টানেলের প্রতি কীরকম কমিটেড ছিল। বলা হয়, এই টানেলই আমেরিকাকে হারিয়ে দিয়েছে। ভিয়েতকংয়ের টানেলে অস্ত্রাগার, ঘুমোনোর জায়গা, রান্নাঘর, হাসপাতাল, এমনকি সিনেমা হল পর্যন্ত ছিল। অনেক টানেলের মুখ গোয়ালঘরে গিয়ে শেষ হতো, ফলে আমেরিকান সার্ভিস কুকুরেরা শুঁকে বের করতে পারতো না। এমনও টানেল ছিল, যেখানে নদীতে ডুব দিয়ে ঢুকতে হতো। ভিয়েতকংয়ের যোদ্ধারা আক্রমণের পরই এসব টানেলে লুকিয়ে পড়ত। আমেরিকা বোম্বিং করে কোনো ফল পেত না। আবার ধরা যাক, আরবান ওয়ারফেয়ারে। এই ধরণের যুদ্ধে টানেলের ব্যবহার সবচেয়ে বড় স্কেলে দেখা গেছে ২০১৫ সালে, ব্যাটল অব মসুলে। যেখানে আইএস ১ লাখ ইরাকি আর্মিকে ৯ মাস ঠেকিয়ে রেখেছিল মাত্র ৭-৮ হাজার সদস্য নিয়ে। ইভেন মসুলের পাশেরই এক ছোট শহরে ২০০ আইএস মেম্বার ১০,০০০ ইরাকি আর্মিকে ১ মাস আটকে রেখেছিল।
কিন্তু তারা কিভাবে করলো? এই টানেলের মাধ্যমে। ইরাকি আর্মি শুরুতেই বোম্বিং করে পুরো মসুল পরিত্যক্ত অঞ্চলে পরিণত করে। তারা ভেবেছিল ৮০০০ দায়েশ, সপ্তাহখানেক লাগবে। কিন্তু আইএস এই জিনিসটাকেই কাজে লাগায়। যেহেতু অধিকাংশ বিল্ডিং ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, ফলে ইরাকি আর্মি নির্দিষ্ট কোনো স্ট্রাটেজি নিতে পারছিল না। এবার এই ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিল্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে টানেল খুড়ে ফেলে তারা। পুরো শহরে স্নাইপার বসায়। আর একটা বড় সংখ্যক সিভিলিয়ানদের জিম্মি করে। ফলে ওখানে অপারেশন চালানো অত্যন্ত রিস্কি হয়ে যায়। ইরাকি আর্মির এক কমান্ডার বলছিলেন, দেখা গেছে আমরা সারাদিন ধরে ৫০০ মিটার এলাকা ক্লিয়ার করে এগোলাম, সন্ধ্যের দিকে টানেলের মধ্য দিয়ে আইএস ঠিক আমাদের পিছনে উদয় হলো। আর আমাদের প্লাটুনের সবাই মারা পড়লো।
হামাসের টানেলগুলো কিন্তু মোটেও ওরকম দুর্বল না। কারণ তাদের জীবিকার একটা পার্টও এই টানেল দিয়েই আসে। হামাসের টানেলগুলো অনেক গভীর, কিছু আছে ৬-৭তলা বিল্ডিংয়ের সমান।
সাধারণতঃ একটা স্কোয়াডে একজন রেডীও অপারেটর, একজন মেডিক (ডাক্তার), একজন স্নাইপার এরকম থাকে। কিন্তু একজন গেরিলা যোদ্ধার উক্ত সবগুলো স্কিলই থাকে। যেমন, হামাসের ফাইটারদের টানেলের মধ্যে একই ড্রিল লাইট অফ করে করানো হয়। ফলে প্রতিটি বাঁক, আর ট্রাপ থাকে তাদের নখদর্পনে। দুই-দিন বছর আগে ইসরাইল গ্যাস দিয়েছিল টানেলে। তারপর থেকে পুরো টানেলজুড়ে অসংখ্য মেটালিক ডোরের ব্যবস্থা করেছে। যা একইসাথে ওয়াটারপ্রুফ। হামাসের আরো একটা অ্যাডভান্টেজ হলো, মাটির অতিরিক্ত নিচে রেডিও সিগন্যাল তেমন কাজ করে না। কিন্তু তাদের কমিউনিকেশ পুরোপুরি সিক্রেট ওয়ার (তার) বেইজড। হামাসের টানেলগুলোর বিরুদ্ধে ইসরাইলের সবচেয়ে বড় উত্তর ছিল GBU-28 বাংকার বাস্টার। যা খানিকটা মিসাইলের মত, তবে মাটির অনেক গভীরে যায়। কিন্তু এত স্টুপিড লেভেলের ডিফেন্স আমি জীবনে দেখিনি। এর আগে ইসরাইল জিবিইউ ফায়ার করলে ম্যাক্সিমাম সময় তা বাংকারে হিট করতো না, চারতলা বিল্ডিং সমান গভীরে কিভাবে পৌছাবে? আর সারফেসের উপরের দিকের কোনো টানেল হিট করলে হামাস জাস্ট ৭-৮ ফুট দূর দিয়ে খুড়ে লিংক করে ফেলত। তার উপর আছে খরচ। ইসরাইল ২০২১ সালে আপগ্রেডেড GBU-72 বাংকার বাস্টার নেয় আমেরিকা থেকে, ১২৫ টা। যার একেকটির দাম ৩০ কোটি টাকা। অথচ সবচেয়ে অত্যাধুনিক অস্ত্রও ১০০ মিটার টানেল ভাংতে পারে না। যা খুড়তে হামাসের হয়ত খরচ হয়েছে ২০,০০০ টাকার মত। ফাটাল ফানেল (Fatal Funnel): কমান্ডো থিওরি অনুযায়ী, ইম্প্যাক্ট জোনে সর্বপ্রথম যে সৈনিক ঢুকবে তার মৃত্যুর সম্ভাবনা ৭০%। ইসরাইল যদি ১৩ তারিখে ফুল-অন অপারেশন শুরু করত, তাহলে তাদের ৩০০+ সৈন্য নিশ্চিত মারা পড়ত, তাও আবার প্রথম কয়েক ঘন্টায়, যা কিনা ৭ই অক্টোবরের মোট মিলিটারি ক্যজুয়াল্টির চেয়েও বেশি। আপনারা চার-পাচদিন আগে যে ১২ জন ইস্রায়েলি সোলজারের মারা পড়া খবর দেখেছেন তা এই ফাটাল ফানেলের অংশ।
ট্রাপঃ গেরিলা যুদ্ধের মজা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় এই ট্রাপ। ব্যাপারটা এরকম, শত্রুকে আমার নিজের জায়গায় টেনে আনবো, কিন্তু পথে ফাঁদ বিছানো থাকবে। যেগুলোর ব্যাপারে আমাদের সোলজাররা জানবে, কিন্তু শত্রুরা না। এই ট্রাপ বানানো হয় হাতের কাছে পাওয়া উপাদান দিয়ে ফলে খরচ অনেক কম। ভিয়েত্নাম যুদ্ধে এই ট্রাপের অনেক সফল ব্যবহার দেখা যায়। আমেরিকান সৈন্যদের মোট ১১%ই মরেছিল এইসব ট্রাপে পড়ে। আপনারা "vietcong boobie traps" লিখে সার্চ করে অনেক ইন্টারেস্টিং জিনিস পাবেন, যার সাথে কিনা বাংলাদেশের অনেক মিল রয়েছে। ২০২১ সালে ইসরাইল গাজার ৪৩টি টানেল আবিষ্কার করে। এগুলোর পদে পদে আইইডি (বিস্ফোরক) বসানো ছিল। এছাড়া অসংখ্য ডেডলি ট্রাপ পুরো টানেল সিস্টেম জুড়েই রয়েছে। আপনি জেনে অবাক হবেন, এই ট্রাপের উদ্দেশ্য কিন্তু হত্যার চেয়ে মারাত্মক আহত করা। ধরা যাক, একটা স্কোয়াড এক টানেলে ঢুকেছে। একজনের পা উড়ে গেল। তাকে কিন্তু স্কোয়াডের বাকি মেম্বারদের বহন করতে হবে। তাদের গতি কমে যাবে। এরকম এক স্কোয়াডে দুই-তিন জন এরকম আটকা পড়লে ওই স্কোয়াড আর মুভ করতে পারবে না, বন্দী হবার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এবার তাদের উদ্ধারে রেস্কিউ টিম পাঠাতে হবে। ফলে গেরিলারা আরো বেশি শত্রুকে হাতের মুঠোয় পাবে, যেহেতু এয়ার অ্যাটাক কাজ করছে না। অথচ ওই সোলজার জাস্ট মারা গেলে তাকে ফেলেই স্কোয়াড এগিয়ে যেতে পারত। এবার হামাসের কিছু মারাত্মক লেভেলের ইন্টেলিজেন্স-ব্রিলিয়ান্স দেখা যাক,
১। আচ্ছা, গত ১ মাস ধরে একটা জিনিস খেয়াল করেছেন? ফিলিস্তিন নিয়ে অনেক খবরই দেখেছেন, কোথাও কী দেখেছেন হামাসের কতজন অ্যাকচুয়াল সোলজার শহীদ হয়েছে? এই সংখ্যা আসলে জানাও যাবে না। এটা দারুণ একটা পলিটিকাল মুভ। আমরা আমাদের সিভিলিয়ান ক্যাজুয়াল্টি দিনরাত প্রচার করবো, মিলিটারি ক্যাজুয়াল্টি না। এতে রাজনৈতিক ফায়দা আছে। আবার শত্রুর মিলিটারি ক্যাজুয়াল্টি জোরেশোরে প্রচার করবো, এক লাশ দিনে পাঁচবার দেখাবো। খেয়াল করে দেখুন তো, ১২টা ইসরাইলি সৈন্য মারা পড়া খবর আপনি কতবার শুনেছেন?
২। যে ভিডিওটা ভাইরাল, অর্থাৎ ট্যাংকে বোমা রেখে আসার ভিডিওটা, তার বোমা রাখার চাইতে ফেরত আসার ব্যাপারটাই বরং অবিশ্বাস্য। কারণ, এই অ্যাটাককে বলে জিরো ডিস্টান্স অ্যাটাক, যা মুলতঃ একটা সুইসাইডাল টেকনিক। যখন কোনো আশাই আর থাকে না, তখন এই ধরণের অপারেশনের অনুমতি দেওয়া হয়। কারণ এতে সাধারণতঃ কেউ বেঁচে ফেরে না। ব্যাপারটা বুঝলে চমকে উঠবেন। যে ট্যাংকটা ধ্বংস করা হয়েছে সেটা মারকাভা ফোর্থ জেন, এর চেয়ে উন্নত প্রযুক্তির ট্যাংক প্রায় নেই। এতে অ্যান্টি মিসাইল ইভেন অ্যান্টি ড্রোন টেকনোলজি আছে। মোবিলাইজেশনে জুড়ি নেই, ৬৪কিমি রেঞ্জে ছুটতে পারে। সেই ট্যাংকে জিরো ডিস্টান্স অ্যাটাক? সোলজারের তো ২০০ গজের মধ্যেই যাওয়ার কথা ছিল না, ইনফ্রারেড আছে। আসলে ব্যাপার যেটা হয়েছে, এত উন্নত প্রযুক্তি কেবল অস্ত্রের জন্য। মারকাভা মানুষ গেলে তা ডিটেক্ট করতে পারে না, আসলে এর এত কাছে যে শত্রু যেতে পারে, এই অ্যাটাক না হলে কেউ জানতেও পারতো না। এই তথ্য হামাস কোনোভাবে জেনে যায়। আর এভাবেই 'ইহুদি গর্ব' মারকাভা আবারো মার খায়।
৩। ২০১৪ ও ২০২১ সালে ইসরাইল হামাসের টানেলগুলোতে রেইড দেয়। মুলতঃ উত্তর দিকের ৪৩ টানেল তারা ধ্বংস করে। আমেরিকা থেকে ভাইব্রেশন ডিটেক্ট করতে পারে এমন টেক আনে, যাতে খোড়ার সময়ই তারা টের পেতে পারে। হামাস মুলতঃ কিছু টানেল স্যাক্রিফাইস করে তাদের পুরো টানেলিং মডেলে পরিবর্তন আনে। সবগুলো টানেল আরো ১০-১৫ মিটার নিচে নিয়ে যায়। সেখানে ট্রেনিং, মোবিলাইজেশন এবং শেল্টারের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা এই যে, কিছু টানেল গাজার পুবের সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরাইলি শহরের নিচে পর্যন্ত গেছে! আসলে ডিপ হওয়ায় বর্ডারের সেন্সরগুলো কাজ করেনি। ইসরাইলের সারাজীবনের মাথাব্যাথার কারণ এগুলো এখন। কারণ ঐখান দিয়ে অ্যাটাক হলে তারা কিভাবে ঠেকাবে? এই দুঃসাহসী ক্রস-বর্ডার টানেলের নাম দেওয়া হয়েছে গাজা মেট্রো। আপনারা 'Gaza Metro' লিখে সার্চ দিলে আরো জানতে পারবেন।
লিখেছেনঃ আহমাদ খান
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন